ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

সাফারি পার্কে নতুন অতিথি নীল গাইয়ের শাবক

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ৪ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১২:৫৫, ৪ অক্টোবর ২০২১

গাজীপুর সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে নীল গাইয়ের দুটি শাবক। দুটি শাবকই সুস্থ আছে। নীল গাইয়ের বংশ বিস্তার নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এক সময় দেশে নীল গাই থাকলেও বনাঞ্চল কমে যাওয়া এবং শিকারিদের লোভে ৮০ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়েছে প্রাণীটি।

নীলগাই ভারতীয় উপমহাদেশের সবচে বড় আকৃতির এন্টিলোপ। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি দেশের বিলুপ্ত প্রাণীর মধ্যে অন্যতম। পুরুষ নীল গাই দেখতে গাঢ় ধূসর। অনেক সময় নীলচে আভাও দেখা যায়। আর মাদি নীল গাই বাদামী রঙের। এদের গর্ভধারণ কাল ২৪৩ দিন এবং একসাথে ৩টি বাচ্চাও হতে পারে। 

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, ১৯৪০ সালের আগে দেশে নীল গাইয়ের বিচরণ ছিল। তৃণভোজী প্রাণিটি শিকারীদের লোভ এবং বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। তারপরও দু’একটি যে নেই তাও নয়।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শিকারীদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া পুরুষ ও মাদি নীলগাই সংগ্রহ করে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। পহেলা আগস্ট দুটি শাবক জন্ম দেয় তারা।

কোর সাফারিতে মা-বাবার সাথে অবাধ বিচরণ করছে শাবক দুটি। তাদের পছন্দ অনুযায়ী খাবারও দেয়া হচ্ছে। প্রকৃতির মাঝেই বেড়ে উঠছে তারা। নতুন অতিথিদের দেখতে ভীড় করছেন দর্শনার্থীরা।

পরিচর্চাকারী জানান, স্বাভাবিকভাবেই এই বন-জঙ্গলের ভেতরে বেড়ে উঠছে, এখন ওরা ভালো ও সুস্থ আছে।

দর্শনার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে, একটা বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীকে সংরক্ষণ করেছে। শাবকগুলো দেখে আমাদের খুবই ভাল লেগেছে।

একসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে নীল গাইয়ের দেখা মিলতো। হারিয়ে যেতে বসা নীল গাই আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা পার্ক কর্তৃপক্ষের।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তবিবুর রহমান বলেন, আশা করছি প্রতিবছরই এক বা একাধিক বাচ্চা আমরা পাব। এভাবেই নীল গাইটা প্রকৃতির মাঝে ফিরিয়ে দেব।

দেশে আবার নীলগাই ফিরে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি